প্রচন্ড গরমে আজকে অফিসে আসার সময় গুলশান-২ এর এই দোকানটিতে ঢুকলাম। রাস্তার ধারে রাখা সাদা বোতলগুলো দেখে কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলাম-
>> এগুলো কি সফট ড্রিংকস না সাদা পানি?
= বস এগুলো সোডা ওয়াটার।
>> ও বুঝেছি, এগুলো দিয়ে কাপড় ধোয়া হয়।
= না বস, এগুলো মদের সাথে মিশিয়ে খায়।
আমি টাশকি। কিছুক্ষন স্তব্ধ থেকে জিজ্ঞেস করলাম
>> ভাই আপনার দোকানে কি মদ পাওয়া যায়?
= না ভাই। এভাবে প্রকাশ্যে মদ বিক্রিতো নিষিদ্ধ।
বাবুরে, মদ বিক্রি নিষিদ্ধ আর মদের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার জিনিস প্রসিদ্ধ। কি আজব কাজ-কারবার!
>> ভাই এগুলো দোকানের ভেতর না রেখে একদম প্রকাশ্যে রাস্তায় রেখেছেন। আমিতো ভেবেছিলাম সাদা কোল্ড ড্রিংকস।
= ভাই কোল্ড ড্রিংস আর কয়টা চলে! এগুলো এজেন্টরা দিয়ে যায়। ওখানেই শেষ হয়ে যায়।
সোডা ওয়াটার অন্যান্য খাবারেও ব্যবহার করা হয়। তবে এখানের বোতলগুলোর বেশিরভাগ মদের গ্লাসেই যায়। দিনে ১৬ আউন্সের বেশি সোডা পান মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এবার আসি কোল্ড ড্রিংকসএর কথায়। এই গরমে কোল্ড ড্রিংকস এর ব্যবসা জমজমাট। কোল্ড ড্রিংকসগুলোও কিন্তু সোডা ওয়াটার। অনেকের মাঝে একটা ভুল ধারণা আছে যে, স্প্রাইট বা সেভেন আপ সাদা হওয়ায় ভালো। সম্পূর্ণ ভুল। সব কোল্ডড্রিংকসই সমান ক্ষতিকর। আমেরিকা ও কানাডার সকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে কোক, পেপসি বিক্রয়ের মেশিন বাধ্যতামূলক ভাবে অপসারণ করা হয়েছে। আর এদেশে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাই বেশি কোল্ড ড্রিংকস পান করে থাকে।
পৃথিবীর ২১টি দেশে এক গ্লাস কোক বা পেপসির মধ্যে মানু্ষের একটি দাঁত ডুবিয়ে রেখে দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে দাঁতটি গলে সম্পূর্ণ ভাবে মিশে গেছে। কোকের মধ্যে কীটনাশক মেশানো হয় যেন দীর্ঘ দিন বোতলে থাকলেও পানিতে কোন ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস বা কীটপতঙ্গ জন্মাতে না পারে। কোল্ড ড্রিংকস, স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, হার্ট, কিডনী, লিভারে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। হাড় দুর্বল ও নরম করে দেয়। গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর এসব খেয়ে মানুষ অসুস্থ হলে লাভটা তদেরই। কারণ কোক কোম্পানীগুলোর সিস্টার কনসার্ন ঔষধ কোম্পানীগুলো রোগীদের কাছে ঔষধ বিক্রির মাধ্যমে প্রচুর লাভবান হয়।
কোক ও পেপসি কোম্পানী এসব বিষয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু বারবার সরকার ও আদালতের আদেশ তাদের বিপক্ষে গিয়েছে।
সুতরাং মাদকের পাশাপাশি কোল্ড ড্রিংকসকেও না বলুন।
প্রেরক> S M Nahid Rahman