ইতালির নগরী নাপলিতে এক তেক্সতাইলেস ১০ জনের মতো অভিবাসিদের দিয়ে Sant’Antimo নামক একটি টেক্সটাইলে দিনে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করাতো। জামা কপর সেলাই ও স্ত্রি করা এই কাজ গুলোই তাদের দিয়ে করানো হত এবং এই বারো ঘণ্টার মধ্যে এক মিনিটের জন্যও তাদের কোন বিশ্রাম দেওয়া হতো-না। এবং মাসে মাত্র ৩০০ ইউরো করে বেতন দেওয়া হত। শুধু তাই নয় মালিক পক্ষ এদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট পর্যন্ত জব্দ করে রেখেছে জাতে করে ওরা পালিয়ে যেতে না পারে। আর অসহায় এই প্রবাসীরা ইতালির permesso di soggiorno না থাকায় কোন প্রকার প্রতীবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। কারন এদের সবাই ছিল অবৈধ এবং নিজের পরিচয় দেওয়ার মত্র একমাত্র সম্বল পাসপোর্ট তাও আবার মালিকের কাছে জব্দ। আর এভাবেই সকল কষ্ট ও ভাগ্যের এই নির্মম পরিহাস কে মেনে নিয়ে চুপ-চাপ কাজ করে যেতে হয়েছে তাদের।
তবে একদিন তারা সাহস করে এর প্রতীবাদ করেছে, অন্যায়ের বীরুধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এবং তাদের এই কাজে সাহায্য করেছে একটি এসোসিয়েশন যার নাম Associazione Antirazzista Interetnica “3 febbraio” (A3F) । এবং কয়েক মাস টানা মালিকের বীরুধে কোর্ট কাচারি করার পর অবশেষে আমাদের প্রতিটি বাঙ্গালী ভাইয়ের জয় হয়েছে। তারা এখন ইতালির লিগ্যাল ডকুমেন্ট মানে Permesso di Soggiorno পেয়েছে যার মতিভ সামাজিক সুরক্ষা বাঁ Social Protection. এবং এটা আমাদের গোটা বাঙ্গালীদের জন্য অনেক বড় একটি শিক্ষা ও অনন্দের সংবাদ, সাথে করে গোটা ইতালিয়ান দের ভাবিয়ে ছাড়ছে যে, বাঙ্গালীদের সাথে অন্যায় কিছু করলে এরা চুপ-চাপ বসে থাকার মধ্যে নয়, কাজেই ইতালিয়ানরা নিজেরাও সতর্ক হচ্ছে।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ সংবাদটি প্রচার করে সহযোগিতার হাত বারানোর জন্য।