আসসালামুয়ালাইকুম।সবাই কেমন আছেন নিশ্চয় ভালো আছেন।যাক আসল কথাই আসি,ভাই ও বোনেরা আজকের টিউন বাংলাদেশের ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা।
রাজু আহমেদ সুমন কে নিয়ে!!হয়তোবা আমার লিখা কারো ভালো না ও লাগতে পারে।তার পরও লিখতে বসলাম।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটী ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে। পাশের গ্রামের আবদার আবদুল আউয়াল কওমি মাদরাসার আমপাড়া শ্রেণীর ছাত্র।
বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জীবন গড়তে মাদরাসায় শিক্ষা জীবন শুরু করেছিল সে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে শ্রেণীকক্ষের পাঠ শেষে মাদরাসায় ঘুমাচ্ছিল সুমন। হঠাৎ দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ওঠে সে। তার বড় ভাই একই মাদরাসার হেফ্জ শ্রেণীর ছাত্র ঈমন ছুটে এসে তার শরীরে জ্বর দেখে বাড়িতে নিয়ে যায়।
সুমন সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তার মা-বাবা তাকে দুপুরেই পাশেই জৈনাবাজারে অবস্থিত আল-বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুস সালাম কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তাকে ওষুধ দেন। চিকিৎসকের নির্দেশে হাসপাতালের নার্স হোসনে আরা শিশুটির ডান হাতে একটি ইনজেকশন দেন। এরপর সুমন ঘুমিয়ে পড়ে। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সুমনকে বাড়ি নিয়ে যান তার মা-বাবা।
দুপুর আড়াইটার দিকে সুমন পুনরায় চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। জ্বর না সারায় সুমনের মা-বাবা আবারো তাকে আল-বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর ওই চিকিৎসক শিশুটির শরীরে স্যালাইন ও আরো একটি ইনজেকশন পুশ করেন। স্যালাইন পুশ করার পর শিশুটির খিঁচুনি শুরু হয়। খিঁচুনির পর হাসপাতালের কর্মচারীরা তার মাথায় পানি ঢালে।
এরপর থেকে সুমনের শরীরে ফোসকা উঠে অধিকাংশ অংশ ঝলসে গেছে, শরীর ও পায়ের চামড়া খসে পড়ে সুমনের ডান হাতের কব্জি বেঁকে গেছে। দুই পা থেকে চামড়া খসে পড়ে এখন মাংসও খসে পরার উপক্রম হয়েছে। পায়ে-বুকে-পেটে ফোসকা। বিছানায় শুয়ে সুমন তার মাকে তাড়াতাড়ি যেন তার মৃত্যু হয় এ কথাই বলছে।
সুমনের বাবা তাজউদ্দিন আহমেদ জানান, চিকিৎসক গাফিলতি করে তার ছেলেকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। ভুল চিকিৎসার কারণে তার ছেলে এখন মৃত্যুশয্যায় ছটফট করছে। তার ছেলে সুমনের শরীরে ফোসকা পড়ে চামড়া খসে পড়ার ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করতে নিষেধ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনা প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমকি দেয়। তাকে আবারও হুমকি দেয়ায় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি এ ঘটনায় দায়ি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করেন।
এদিকে, অভিযোগ পেয়ে গত ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজীজ হায়দার ভুঁইয়া মৃত্যুশয্যায় শিশুটিকে দেখতে তার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির অবস্থা দেখে চিকিৎসার জন্য নগদ ৩ হাজার টাকা দেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর তিনি ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল সিলগালা করে দেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজীজ হায়দার ভুঁইয়া জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসার কোনো পরিবেশ নেই। রান্না ঘরের সঙ্গে একটি কক্ষে অস্ত্রোপচার করা হয় রোগীদের। নার্সদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। চিকিৎসার নামে এই হাসপাতাল ঘিরে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।সত্যি কথা বলতে কি আমরা কোন দেশে বাস করছি।
যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রিয় পাঠক এই লেখাটা আমিওপারির একজন নিয়মিত পাঠক এর লেখা। এভাবে আপনিও চাইলে আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া যেকোনো ঘটনা, সমস্যা, অভিজ্ঞটা ইত্যাদি সহ আপনার ভিতরে লূকায়িত প্রতিভা তুলে ধরতে পারেন আমাদের মাঝে। আপনি আমিওপারির মাধ্যমে আপনার প্রবাস জীবনের যেকোনো ধরণের ঘটনা বা শিক্ষণীয় বিষয় গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনার সেই বিষয়গুলো জেনে আমি সহ আরও অনেকেই নতুন নতুন কিছু শিখতে ও জানতে পারবে। এভাবে আমরা একে অপরের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখে নিজের ও দেশের জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারবো। কিভাবে আমিওপারিতে নিজে নিজেই বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে আপনার লেখা প্রকাশ করবেন? সেই বিষয়ে আমিওপারি টিম অনেক সহজ করে আপনাদের জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ দেখিয়ে দিয়েছে। আর আমাদের সেই লেখা ও ভিডিওটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিয়ে পারেন।