এখানেই শেষ নয় রাত দুইটার দিকে বাসার কাছেই ভিয়া প্রেনেস্তিনার ছোট মাঠে আবার সেই খাবারের খালি বল নিয়ে গানের তালে তালে নাচ শুরু হয়ে গেল। যে যা পারলো মনের সুখে গাইলো। সেখানে আমিই একমাত্র শরীয়তপুরের, আরবাকিদের মধ্যে ছিলঃ ঢাকার মাতুয়াইল , মিজমিজি ও মুন্সী গঞ্জের মানিক ভাই।সে আনন্দ ঘন পরিবেশ ছিল যেন একি পরিবারের একসাতে থাকার মতো।তদ্রুপ গত বুধ বারঅর্থাৎ ১৭-০৬-২০১৫ তারিখ কাজ শেষ করে বিকাল ছয় টার দিকে আমার কাজের মালিক Pramstrahler Ida কে আমার ইতালিয়ান নাগরিকত্বের সুখবরটা দিতেই খুশিতে হাত মিলিয়ে Congratulation জানান এবং ১৯-০৬-২০১৫ তারিখ শুক্রবার মদ্ধান্য ভোজের সময় কিছু আনন্দ উচ্ছ্বাসের বিনোদন দিতেও কৃপণতা করেননি ফ্যাক্টরির সকল কর্মচারীদের নিয়ে।
যেখানে প্রায় ৫০ জনের মত কর্মরত আছি প্রায় ১৩ টি দেশের মানুষ।সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন Pramstrahler Ida , উপস্থিত সকলের মাঝে আমাকে ইতালিয়ান নাগরিক হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেন এবং ইতালিয়ান ভাষায়গান গাইতে অনুরুধ করা হলেও আমি লজ্জিত ভাবে বললাম মাত্র কদিন হল আমার ছিত্তাদিনান্সার (নাগরিকত্বের– ইটালিয়ান পাসপোর্টের) জন্ম একটু সময়ের দরকার , তাই আমার গান গাওয়ার অপেক্ষা না রেখে মোবাইল থেকে ইতালিয়ান গান বাজানো শুরু করেদিল। কিন্তু তবুও নাছোড় বান্দা আমাকে এই মদ্ধান্য ভোজের জনগণের কিছু বলতেই হল যে , আমার কাজের প্রয়োজনে এবং খালাত ভাই সিরাজ সিকদার ওদুলালের আন্তরিকতায় বোলজানোতে Pramstrhler Family’র সাথে কখন যে ২০০০ এর অক্টোবর থেকে আজকের এই সময় পর্যন্ত প্রায় ১৫ (পনের) টি বছর কেটে গেল নিজেই অবাক কিন্তু তবুও আমি ধন্য যে জন্মগত ভাবে না হলেও এদেশের মূল্যায়নে আজ আমি ইতালিয়ান। উপস্থিত সকলেই আনন্দে জোরে করতালি দিতে শুরু করলেযেন লজ্জায় অভিভূত হয়ে যাই। অনুষ্ঠানের সার্বিক ও সার্বক্ষণিক সহযোগিতায় ও ক্যামেরায় ছিলেন Svitlana (ukraina) , Joy (Ghana) , Surana (Tedesco,Italyan) , এবং আন্তরিকতায় মাতিয়ে রেখেছিলেন Pramstraler Hugo , Stefan , Verner , Radoslav , Mikhail , Pheix , Joanna , Zari সহ উপস্থিত সকলেই । তবে Pramstrahler Otto উপস্থিত থাকলে হয়তআর একটু বেশি আনন্দ উপভোগ করা যেত তবু ও এ আনন্দ সত্যি আমাকে মনে করিয়ে দিবে দ্বিতীয় পর্বের মত হয়তো পৃথিবীর যেখানেই যাই অথবা যতদিন বাঁচি এ বিশ্ব ভ্রম্মানডে।