বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কন্স্যুলার, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র প্রস্তুতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা পূর্বক উদীয়মান অর্থনীতি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে ঘনিষ্ঠতা বিবেচনা করে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা সেদেশে বাংলাদেশের বিনিয়োগ আহ্বান করে। নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব শেখ মুহম্মদ বেলাল, যিনি বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় বাংলাদেশের সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, সারাজেভোতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সীর চেয়ারম্যান-এর নিকট তাঁর পরিচয়পত্র পেশকালে উপরোক্ত আগ্রহের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা হয়।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারাজেভোতে পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্সীর চেয়ারম্যান সমীপে রাষ্ট্রদূত বেলাল বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রাপতি কর্তৃক নিযুক্ত পূর্ণক্ষমতাপ্রাপ্ত অনন্যসাধারণ রাষ্ট্রদূত হিসেবে অদ্য ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সীর রাষ্ট্রাচার প্রধানসহ প্রেসিডেন্সী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ডা. দিলরুবা নাসরিন এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত হজরুদ্দিন সমুনও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র প্রদান শেষে বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বেলাল বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সীর চেয়ারম্যানের কাছে পৌঁছে দেন। দুদেশের ধর্মীয় মেলবন্ধন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ দুটির সাদৃশ্যের উপর আলোকপাত পূর্বক রাষ্ট্রদূত বেলাল ১৯৯০ দশকের শুরুতে দেশটিতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদান স্মরণ করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর এবং সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত বেলাল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সীর চেয়ারম্যান-এর নিকট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘ভিশন ২০২১’ ব্যাখ্যা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে নিয়মিতভাবে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্সীর চেয়ারম্যান ডঃ দ্রাগান কভিচ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক পর্যায়ে বিরাজমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার অনেক সুযোগ রয়েছে মর্মে ডঃ দ্রাগান কভিচ মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং দায়িত্ব পালনে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ডঃ দ্রাগান কভিচ মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দুপক্ষের সুবিধাজনক সময়ে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী জনাব মিরকো সারোভিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী জনাব আমের কাপেটানোভিক-এর সাথেও রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বৈঠক করেন। বৈঠকে দুপক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল নির্ধারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক, ওষুধ সামগ্রী, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চিনামাটির তৈজসপত্র, হিমায়িত মাছ, জুতা এবং চামড়াজাত পণ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য ইত্যাদি আমদানির জন্য রাষ্ট্রদূত বেলাল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বৈদেশিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বান জানান, যা ইতিবাচক ভাবে বিবেচনা করা হবে মর্মে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশীদের সহজে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ভিসা প্রাপ্তির বিষয় তুলে ধরা হলে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা বাংলাদেশীরা যাতে দ্রুত এবং সহজে ভিসা পেতে পারে তা খতিয়ে দেখা হবে মর্মে অবহিত করে। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা এবং ভবিষ্যতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা রহিতের প্রস্তাব করেছে। খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক পর্যায়ে অধিকতর সহযোগিতার জন্য বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা অত্যন্ত আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত বেলাল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রশংসা পূর্বক এক্ষেত্রে কোচিং সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বেলাল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ফরেন ট্রেড চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ডঃ ব্রুনো বজিক-এর সাথেও বৈঠক করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বেলাল এবং ডঃ বজিক দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ডঃ বজিক বাংলাদেশের চেম্বার প্রধানকে সুবিধাজনক সময়ে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ভ্রমণের আমন্ত্রণ করেন।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারী কনসাল জেনারেল রাষ্ট্রদূত হজরুদ্দিন সমুন রাষ্ট্রদূতের সাথে উক্ত বৈঠক সমূহে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ইতালি,জার্মান,ফ্রান্স,সুইজারল্যান্ড সহ সমগ্র ইউরোপের যেকোনো বিষয়, যেমন ভিসা সংক্রান্ত ও মাইগ্রেসন বিষয়ে সকল তথ্য,ইউরোপের দেশ গুলোতে কিভাবে সরাসরি সরকারী বিভিন্ন মাধ্যমের সাথে সংযুক্ত হয়ে লিগ্যাল ভাবে আসা যায়? ও আসার পর আপনার করনীয় কি? কোথায় জাবেন? কিভাবে কি করবেন? সহ ইউরোপের প্রবাস জীবন যাপন সম্পর্কে যেকোনো ধরনের সাহায্য ও সহযোগীতা পেতে আমাদের পেইজ লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে যেতে এখানে ক্লিক করুন।
এতে করে ইউরোপের যেকোনো দেশে সরকারী ভাবে কোন প্রজেক্ট প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে আপনি আপনার ফেসবুকের ওয়ালে পেয়ে যাবেন।
এবং আপনারা চাইলে সরাসরি আমিওপারি টিম এর সাথে আপনাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ইউরোপ সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।