আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা অনেকসময় চোরাই মোবাইল কিনে এখানে ব্যবহার না করে দেশে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু বর্তমান যুগে টেকনোলজি অনেক এগিয়ে গিয়েছে এখন প্রায় প্রতিটি স্মার্ট ফোন জিপিএস (গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেম) যুক্ত করা, যার মানে আপনি যেখানেই যাচ্ছেন না কেনো এই জিপিএস এর মাধ্যমে ও ফোনের IMIE নাম্বার দিয়ে আপনাকে খুব সহজে খুজে বেড় করে ফেলা যাবে। তাই চোরাই বা অপরিচিতদের কাছ থেকে মোবাইল কিনবেন না, কেননা আপনি জানেন না এর সাথে কি কি ঘটনা জরিয়ে থাকতে পারে। যদি আপনার ক্রয়কৃত মোবাইলের উপর কোন মামলা করা হায় তাহলে এখানকার পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের সাহায্যে তা বেড় করে ফেলতে পাড়বে। যা আপনার ও আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে যাবে বড় ধরনের এক বিপদের দিকে যা আপনি কল্পনাও করতে পাড়বেন না। নিচের ঘটনাটি পড়ুন।
খুলনা মোল্লারহাট থানার এমাসেরই ঘটনা (জুন২০১৩), এখানের একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে নড়াইলের কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন ছাত্র। তাদের অপরাধ তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া মোবাইল সেট পাওয়া গেছে। এবং এই সেটগুলো তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্যবহার করছিল।
মোল্লারহাট থানাটিতে ডাকাতির ঘটনাটি রেকর্ড হলে মোবাইলটিও উল্লেখ করা হয়। প্রথমে পুলিশ খোজ নিয়ে দেখে যে সীমটি বন্ধ, এরপর তারা মোবাইল কোম্পানীর কাছে অনুরোধ করলে তারা কল লিষ্ট দেয়, যেখান থেকে সেটের IMIE যোগাড় করা হয়। আরো খোজ নিয়ে জানা যায়, সেই IMIE বর্তমানে নড়াইলের একটি টাওয়ার ব্যবহার করছে। কিন্তু আমরা জানি যে, টাওয়ার লোকেট করতে পারলেও ব্যক্তি বা তার সঠিক অবস্থান বের করা সম্ভব নয়। অতপর, বিভিন্ন প্রকার ফাদ ফেলে সেই IMIE ওয়ালা সেট ও বতর্মান ব্যবহারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে ছেলেটি বলে যে সে এটি এলাকার এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে কিনেছে। যাহোক অবশেষে সে ভদ্রলোককে এরেষ্ট করে প্যাদানী দিলে বেরীয়ে আসে হাড়ির খবর। সে মোল্লারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতী করে সেটা তার শ্বশুরবাড়ীর এলাকা নড়াইলে নিশ্চিন্তে বিক্রি করত, আর লোকজন তাকে সন্দেহও করত না। আর তার এই অপরাধের সাথে নিরীহ এই ছেলেগুলোও ফেসে যাচ্ছিল।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে জানতে “এখানে ক্লিক করুণ” তুলে ধরুন নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। ]]