আজ থেকে ৩৬৫ দিন পুর্বের কথা। আমি এক অজানা চিন্তা মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের পথ যাত্রী।এই সময়ে আমি হয়তো আরবের কোন এক দেশের উপর উড়ন্ত পাখি।কিছুক্ষন পর দুবাই আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে অবতরন করবে আমি যে উড়ন্তযানে আছি সেটি। আমার মনে প্রানে একটি চাওয়া কতক্ষন পর যানটি বাংলাদেশের মাঠি স্পর্শ করবে।
৬সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় আমি হযরত শাহজালাল বিমান বন্দরে পা রাখি।বন্ধু কামাদের সাথে সেখানে দেখা। তখন ও আমি মনে করিনি আমার অজানা চিন্তা আমাকে এতিম করে ফেলেছে। সড়ক যুগে ঢাকা থেকে সিলেটে যাত্রা পথে মায়ের কথা মনে পড়লো।ফোন দিলাম বোনের ফোনে সে কথা বলেনা শুধু কাঁদে,আমি ও কাঁদি,কাদতে কাদতে চলে গেলাম বাড়িতে।দেখি মা বাড়িতে নেই।সবাই কাঁদছে।আমি মাকে খুজতে লাগলাম,মা নেই-মনে করলাম মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।মায়ের কবর দেখতে যাব, না কবর ও নেই, তাহলে মায়ের ঠিকানা কোথায়।অনেক্ষন পর জানতে পারলাম মা তার চার সন্তানের জন্য সিলেটে লাশ ঘরের হিমায়ীত কক্ষে অপেক্ষা করছে।
দীর্ঘ ৮ বছর পর যখন মায়ের সাথে দেখা হলো মা দেখি আমার সাথে কথা বলেনা।অভিমান করেছে নাকি, না এটি অভিমান না মনে হয় মা হিমায়ীত কক্ষে থাকা অবস্থার ঠান্ডা লেগেছে তাই কথা বলছে না। তাহলে চুখ খুলছে না কেন ? না মনে হয় অভিমান করেছে তাই আমাকে দেখতে চাচ্ছেনা।
বেলা তখন ১২টা বাড়ি ভর্তি মানুষ।পুরুষ-মহিলা চেনা জানা অনেক।আমার অন্য তিন ভাই ও বাড়ীতে এসে পৌচেছেন। মাকে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি নাকি তখন পাগলের মতো ছিলাম। মায়ের সাথে মসজিদে যেথে চাচ্ছিলাম না।
আমাকে ও নিয়ে যাওয়া হলো মায়ের লাশবাহী গাড়ীতে করে মসজিদে। জানাজা করা হল। আমরা চার ভাই খাটিয়াতে করে মাকে কাদে নিলাম।
কবর স্থানে যাওয়ার পর আমার ২য় ভাই মাওলানা নজরুল ইসলাম সিদ্বান্ত দিলেন বড় ভাই নজিবুল,তায়জুল এবং আমাকে মায়ের কবরে নামতে হবে। আমার এতটুকু মনে আছে আর কিছু বলতে পারবো না।
ঘটনাটি ফ্রান্সের নগরী প্যারিসের চ্যানেল S প্রতনিধি জনাব নুরুল ওয়াহিদ ভাইয়ের।ঘটনাটি শূনে খুব খুব খারাপ লাগলো। এখানে একটি কথা না বললেই নয় আমরা প্রবাসীরা যে কতো কষ্টে জীবন যাপন করি তা একমাত্র আমরাই জানি, যে অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় নিজের কাছের মানুষটিকে শেষ বারের মতোও দেখার সুযোগ পাইনা… এর চাইতে কষ্ট,আর অন্য কিছুতে আছে বলে আমার জানা নেই।আমরা আমিওপারি ডট কমের পক্ষ থেকে এবং ইউরোপের প্রবাসীদের ভাইবোনদের কাছে অনুরোধ করবো সবাই নুরুল ওয়াহিদ ভাইয়ের আম্মার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন যাতে মহান আল্লাহ্ তালা তাকে বেহেস্ত নাসিব করেন। এবং কোনো প্রবাসী ভাইদের সাথে জেনো এরকম মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে।
[[ আপনি জানেন কি? আমাদের সাইটে আপনিও পারবেন আপনার নিজের লেখা জমা দেওয়ার মাধ্যমে আপনার বা আপনার এলাকার খবর তুলে ধরতে এই লেখায় ক্লিক করে জানুন এবং তুলে ধরুন। নিজে জানুন এবং অন্যকে জানান। আর আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে রয়েছে অনেক মজার মজার সব ভিডিও সহ আরো অনেক মজার মজার টিপস তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হতে না চাইলে এক্ষনি আমাদের ফেসবুক ফ্যানপেজে লাইক দিয়ে আসুন। এবং আপনি এখন থেকে প্রবাস জীবনে আমাদের সাইটের মাধ্যমে আপনার যেকোনো বেক্তিগত জিনিসের ক্রয়/বিক্রয় সহ সকল ধরনের বিজ্ঞাপন ফ্রিতে দিতে পাড়বেন। ]]